Wellcome to National Portal
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ অক্টোবর ২০২৪

চলমান কার্যক্রমসমূহ

প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের মাধ্যমে বিনামূল্যে থেরাপিউটিক  (Early Intervention) সেবা প্রদান:

 

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে থেরাপিউটিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় মোট ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করা হয়। এ সকল কেন্দ্রসমূহ হতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে থেরাপিউটিক, কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হচ্ছে। উক্ত কেন্দ্রের মাধ্যমে আগস্ট/২০২৪ পর্যন্ত নিবন্ধিত সেবা গ্রহীতার সংখ্যা ৯,৩০,৩৯৮ জন ও মোট প্রদত্ত সেবা সংখ্যা (Service Transaction) ১,১৪,৯০,৫৩৭টি।

২ এপ্রিল ২০১০ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র শীর্ষক কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দুই ধাপে আরও ৪২২টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

 

  ভ্রাম্যমাণ ওয়ান স্টপ থেরাপি সার্ভিস (মোবাইল ভ্যান এর মাধ্যমে):

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের দোড়গোরায় থেরাপিউটিক সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ৪৫টি মোবাইল থেরাপি ভ্যান কাজ করছে। আগস্ট/২০২৪ পর্যন্ত বিনামূল্যে নিবন্ধিত সেবা গ্রহিতার সংখ্যা ৫,৫৩,৬৭৩ জন এবং প্রদত্ত সেবা সংখ্যা (Service Transaction) ১৩,৪৬,২৮৬টি।

 

বিনামূল্যে সহায়ক উপকরণ বিতরণ:

১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের মাধ্যমে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ৭৫,০০০টি সহায়ক উপকরণ (কৃত্রিম অংগ, হুইল চেয়ার, ট্রাইসাইকেল, ক্রাচ, স্ট্যান্ডিং ফ্রেম, ওয়াকিং ফ্রেম, সাদাছড়ি, এলবো ক্র্যাচ, আয়বর্ধক উপকরণ হিসেবে সেলাই মেশিন) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

 

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা:

প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ এর আওতায় সর্বমোট ৭৪ টি বিশেষ স্কুলের শিক্ষক/ কর্মচারীর ১০০% বেতন-ভাতা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পরিশোধ করা হচ্ছে। বর্তমানে উক্ত স্কুলসমূহে ১১০৩ শিক্ষক/কর্মচারী এবং ১০৮৮৯ জন ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে।

 

স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম পরিচালনা:

 

  • জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে একটি সম্পূর্ণ অবৈতনিক স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম চালু করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকা শহরে মিরপুর, লালবাগ, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও ৬টি বিভাগীয় শহরে ৬টি (রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট), গাইবান্ধা জেলা ১টি এবং বিশ্বনাথ উপজেলা ১টি সহ মোট ১২টি স্কুল চালু করা হয়েছে। উক্ত স্কুলগুলোতে অটিজম ও এনডিডি সমস্যাগ্রস্থ শিশুদের অক্ষর জ্ঞান, সংখ্যা, কালার, ম্যাচিং, এডিএল, মিউজিক, খেলা-ধূলা, সাধারণজ্ঞান, যোগাযোগ, সামাজিকতা, আচরণ পরিবর্তন এবং পুনর্বাসন ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এসব স্কুলে চলতি শিক্ষাবর্ষে মোট ১৬0 জন অটিজম সমস্যাগ্রস্থ শিশু বিনামূল্যে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে।

 

অটিজম রিসোর্স সেন্টার:    

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে ২০১০ সালে একটি অটিজম রিসোর্স সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্ত সেন্টার থেকে অটিজম বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিবর্গকে বিনামূল্যে নিয়মিত বিভিন্ন ধরণের থেরাপি সেবা, গ্রুপ থেরাপি, দৈনন্দিন কার্যবিধি প্রশিক্ষণসহ রেফারেল ও অটিজম সমস্যাগ্রস্থ শিশুদের পিতা-মাতাদের কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১০ সালে চালু হওয়ার পর থেকে আগস্ট/২০২৪ পর্যন্ত বিনামূল্যে ৩৪,৯৬০টি অটিজম সমস্যাগ্রস্থ শিশু ও ব্যক্তিকে বিনামূল্যে ম্যানুয়াল ও Instrumental থেরাপি সার্ভিস প্রদান করা হয়েছে।

 

সেবাসমূহঃ

  • অকুপেশনাল থেরাপি
  • স্পিচ এ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি
  • ফিজিওথেরাপি
  • কাউন্সেলিং
  • গ্রুপ থেরাপি প্রদান
  • দৈনন্দিন কার্যবিধি প্রশিক্ষণসহ রেফারেল সেবা প্রদান
  • অটিস্টিক শিশুদের পিতা-মাতাদের কাউন্সেলিং সেবা প্রদান।

 

অটিজম ও এনডিডি কর্ণার সেবা:

Early Screening, Detection, Assessment ও Early Intervention নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আওতায় পরিচালিত ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে একটি করে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) কর্নার স্থাপন করা হয়েছে।

 

অনুদান প্রদান:

  • বেসরকারি সংস্থা পর্যায়ে অনুদান প্রদান : প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে অনুদান/ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ফাউন্ডেশনের কল্যাণ তহবিল থেকে ২০০৩-২০০৪ হতে ২০২০-২০২১ অর্থ বছর পর্যন্ত প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও পুর্নবাসনের লক্ষ্যে প্রায় ১৬ কোটি টাকা অনুদান ও ঋণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত বেসরকারি সংস্থার মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
  •  
  • ব্যক্তি পর্যায়ে আর্থিক অনুদান কার্যক্রম: প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আগস্ট/২০২৪ পর্যন্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রায় ১,১১,৭৫,০০০ (এক কোটি এগার লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকা অনুদান হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ কার্যক্রম  চলমান রয়েছে।

 

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান মেলা (Job Fair) আয়োজন:

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর তত্ত্বাবধানে ২০১৬ সালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ও ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন করা হয়। ২০১৬ সালে ৪০ জন এবং ২০১৮ সালে ৬৫ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি প্রদান করা হয়। ফাউন্ডেশনের Job Placement শাখা হতে তাদের নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

 

দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণঃ

  • কর্মকর্তা কর্মচারীর দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ : অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে কর্মরত জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য পর্যায়ক্রমে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক্ষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১ জুলাই ২০২৩ হতে ২৯ জুন ২০২৪ পর্যন্ত ৩৬০ জনকে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৪৭৫৫ জনকে অভ্যন্তরীণ ও ২১৫ জনকে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
  •    অটিজম বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশুর পিতা-মাতা/অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ: অটিজম সমস্যাগ্রস্থ সন্তানদের পিতা-মাতা/অভিভাবক ও কেয়ার গিভারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা/ উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ে ১০৩২ জন অটিজম ও এনডিডি সমস্যাগ্রস্থ সন্তানের অভিভাবক/পিতা-মাতা/কেয়ারগিভারকে দৈনন্দিন জীবন যাপন ব্যবস্থা, আচরণগত সমস্যা, সাধারণ শিক্ষা ও সামাজিকতাসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। 

 

কর্মজীবী প্রতিবন্ধী পুরুষ ও মহিলা হোস্টেল:

চাকুরী প্রত্যাশি ও কর্মক্ষম প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে ২০ আসন বিশিষ্ট ১টি পুরুষ ও মহিলা হোস্টেল চালু করা হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৩০ হতে ৪০ এ উন্নীত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত উপকারভোগীর সংখ্যা ৫০০ জন।

    

পিতৃ-মাতৃহীন প্রতিবন্ধী শিশু নিবাস:

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে ফাউন্ডেশনের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এতিম ও ঠিকানাবিহীন প্রতিবন্ধী শিশুর লালন পালন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য একটি প্রতিবন্ধী শিশু নিবাস চলমান আছে। বর্তমানে এখানে ৫৯ জন শিশুকে লালন পালন করা হয়।

 

   আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন:

  • আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস : সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত বেসরকারি সংস্থা এবং অংশীজন সমন্বয়ে প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস যাথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। দিবস উপলক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো হলো :
  • জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ
  • প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক কার্যক্রম সম্বলিত বিল বোর্ড দ্বারা সড়ক দ্বীপ সুসজ্জিতকরণ
  • প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক কার্যক্রম সম্বলিত ছবি দ্বারা পোস্টার তৈরী ও সারা দেশে বিভিন্ন স্থান সজ্জিতকরণ
  • সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্বলিত তথ্যাদি নিয়ে ব্রোশিউর প্রস্তুত এবং তা বিভিন্ন ব্যক্তি, দপ্তর, সংস্থার মধ্যে বিতরণ
  • প্রতিবন্ধিতা উত্তরণ বিষয়ে রেডিও এবং টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন
  • টিভি স্ক্রলে তথ্য প্রচার
  •  শোভাযাত্রা/র‌্যালী আয়োজন
  • আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন
  • দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউনেশন ক্যাম্পাসে পাঁচ দিন ব্যাপি প্রতিবন্ধিতা উত্তরণ মেলা আয়োজন। উক্ত মেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কাজ করে এমন সংস্থার উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী প্রদর্শণ ও বিক্রয় করা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে 5 (পাঁচ) দিনব্যাপী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়
  • দিবস উপলক্ষে (1) সফল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি (2) প্রতিবন্ধিতা উত্তোরণে কাজ করেন এমন ব্যক্তি (3) প্রতিবন্ধিতা উত্তোরণে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান (4) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সফল পিতা মাতা (5) সফল কেয়ার গিভার (Care Giver) ক্যাটাগরীতে পুরস্কার ও সম্মাননা (ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, নগদ অর্থ) প্রদান করা হয়।

বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস উদযাপন:

  • সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে ১৫ অক্টোবর বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস সরকারিভাবে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মেধাবী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও অনুদান প্রদান এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি/বেসরকারি সংস্থাসমূহরে মধ্যে সাদাছড়ি বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১০০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ৫০০০/- টাকা করে অনুদান ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়েছে। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও ১০০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুদান ও সম্মাননা সনদ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।।

বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালন:

  • সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে ০৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা ইশারা ভাষা দিবস সরকারিভাবে উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মেধাবী বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও অনুদান প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, এ বছর 35 জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ৫০০০/- টাকা করে অনুদান ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়েছে।

বিপনন ও প্রদর্শণী কেন্দ্র স্থাপন:

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দ্বারা উৎপাদিত পন্যসামগ্রী প্রদর্শন, বিপনন ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে সুবর্ণ ভবনের নীচতলায় একটি বিপনন ও প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপন করার কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অতিশীঘ্রই বিপনন ও প্রদর্শনী কেন্দ্রটি চালু করা হবে।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ:

প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁদের পারদর্শিতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ক্রীড়াবিদদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপনের নিমিত্ত সাভার উপজেলাধীন বারইগ্রাম ও দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর মৌজার ১২.০১ একর জমি ইতোমধ্যে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পটি ০১-০৪-২০২১ থেকে ৩১-১২-২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১৬-৩-২০২১ তারিখ ৪৪৮ কোটি (সংশোধিত ৪৮৭ কোটি) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

 

আমতৈল গ্রামের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়ক উপকরণ, আর্থিক অনুদান থেরাপি সেবা প্রদান

সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার আমতৈল গ্রামের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়ে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন হতে অত্র গ্রামের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মধ্যে প্রতিবন্ধিতার ধরণ অনুযায়ী সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হয়। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পরিবার প্রতি ২০,০০০/- টাকা করে ৫০ টি পরিবারকে সর্বমোট ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা অনুদান বিতরণ করেন। আমতৈল গ্রামের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের থেরাপি সেবা প্রদানের নিমিত্ত উক্ত গ্রামের জনৈক হাজী চমক আলীর বাড়ীতে একটি থেরাপি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এছাড়া আমতৈল গ্রামের প্রতিবন্ধী শিশুদের পড়ালেখার উদ্দেশ্যে একটি ‘স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম’ স্থাপন করা হয়েছে।